একের
পর এক বিভিন্ন গবেষণায় যখন দেখানো হচ্ছে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত
তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যান্সার হতে পারে, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের একজন
গবেষক জানিয়েছেন, কোন গবেষণাতেই নাকি প্রমাণিত হয়নি যে মোবাইল ফোন থেকে
নির্গত তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যান্সার হতে পারে। আর তার এই কথা রীতিমত সাড়া
ফেলেছে গবেষকদের মধ্যে।
“কোন
গবেষণাতেই এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি যে মোবাইল ফোনের স্বল্পমাত্রার
তেজস্ক্রিয়তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে। যদিও গবেষকদের একটি অংশ অনেকদিন
ধরেই বলে আসছিলেন যে মোবাইল ফোন ব্যবহার কিংবা মোবাইল ফোন টাওয়ারের
কাছাকাছি থাকলে ক্যান্সার হতে পারে।”, জানান এম ভি পিল্লাই। ইন্ডিয়ান
মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সভায় এ কথা জানান এই গবেষক। তিনি গবেষকদের
উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “গবেষকরাই বলেন যে শরীরে ক্যান্সার কোষ
তৈরি হতে ২০-৩০ বছর সময় লাগে। সেখানে ২০ বছর আগে থেকে সহজলভ্য হতে শুরু করা
এই মোবাইল ফোন কিভাবে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে?”
ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক
তরঙ্গের দুই ধরণের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ রয়েছে। এর একটি হল তরঙ্গ স্কেলের ডান
দিকে থাকা উচ্চ মাত্রার বিকিরণ যা তৈরি হয় এক্স-রে, গামা রশ্মি এবং
পারমানবিক চুল্লি থেকে। এগুলো সাধারণত ক্ষতিকর। অন্যদিকে স্কেলের বাম দিকে
থাকা স্বল্পমাত্রার তরঙ্গ খুব একটা ক্ষতিকর নয় বলে মন্তব্য করেন জেফারসন
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক।
তিনি
জানান, বিভিন্ন প্রানির উপর এই বিষয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
তাদের ওয়াইফাই এবং ক্ষুদ্র তরঙ্গের মধ্যে রেখে পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু
কোন পরীক্ষাতেই প্রমাণিত হয়নি যে তেজস্ক্রিয়তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে।
অন্যভাবে বলা যেতে পারে, স্বল্পমাত্রার এই বিকিরণ কোনভাবেই ক্ষতিকর নয়।
পিল্লাই
জানান, “কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বললে তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপ ডিএনএ’র
উপর কোন প্রভাব না ফেললেও কিছু প্রোটিন এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তবে সব মিলিয়ে যাই হোক না কেন, দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলা কোনভাবেই
যুক্তিযুক্ত নয়।”
উল্লেখ্য,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিষয়ে বেশ কিছু গবেষণা পরিচালনা করছে। পিল্লাই
জানান, আগামী বছর প্রকাশিতব্য একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।